ঈদের তৃতীয় দিনেও রাজধানীর সড়কগুলো প্রায় ফাঁকা, বেশিরভাগ দোকানপাট এখনও খুলেনি, ফুটপাতে নেই চাকরিজীবী বা কর্মজীবী মানুষের ছুটে চলা। পর্যাপ্ত যানবাহনও নেই। আর যে দোকানগুলো খোলা আছে, সেখানে ক্রেতার উপস্থিতি প্রায় নেই বললেই চলে। এমন ফাঁকা ঢাকা অনেক বছর দেখেনি নগরবাসী!
সরেজমিনে দেখা যায়, অল্প সংখ্যক যাত্রী নিয়ে থেমে থেমে চলছে রাজধানীর গণপরিবহনগুলো। রাস্তার মোড়ে মোড়ে দাঁড়িয়ে আছে সারি সারি সিএনজি ও ব্যাটারিচালিত রিকশা, কারণ তারা সেভাবে যাত্রী পাচ্ছে না। রাজধানীর মোড়ে মোড়ে রাইড শেয়ারিং করতে আসা বাইকারদের সংখ্যা ঈদের এই সময় একেবারে হাতে গোনা। সব মিলিয়ে, ঈদের চতুর্থ দিনে এসেও রাজধানীর এই চিত্র অনেক বছর পর দেখা যাচ্ছে।
এবার ঈদের ছুটি অনেক বেশি পেয়েছেন সবাই। পরিবার-পরিজন নিয়ে ঈদুল ফিতরের ছুটি কাটাতে ঈদের আগে ঢাকা ছেড়েছেন প্রায় অর্ধকোটি মানুষ। এর মধ্যে ঈদের আগের দুই দিনে ৪১ লাখ মানুষ ঢাকা ছেড়েছেন। ফলে ঢাকার শহর অনেকটাই ফাঁকা। ঈদের পরেও বাস ও ট্রেনে ঢাকায় ফিরে আসা মানুষের সংখ্যা কম, আর ঈদের পর ঢাকা ছেড়ে যাওয়ার সংখ্যা বেশি। তাই ঈদের চতুর্থ দিনেও রাজধানী ঢাকা প্রায় ফাঁকা। ধারণা করা হচ্ছে, স্বাভাবিক ঢাকার রূপ ফিরতে আরও দুই-তিন দিন সময় লাগবে।
রাজধানীর সাভার থেকে গাবতলী, শ্যামলী, মহাখালী, গুলশান, বাড্ডা হয়ে নতুন বাজার রুটের নিয়মিত বাস রইছ পরিবহনের চালক ইউসুফ আলী বলেন, ঢাকায় মানুষ নেই বললেই চলে, অল্প সংখ্যক যাত্রী নিয়ে এই কয়দিন চলাচল করছি, তেলের টাকায় ঠিকমতো উঠে না। আজ ঈদের তৃতীয় দিন, আজও ঢাকায় মানুষ নেই। কখনো এমন ফাঁকা ঢাকা দেখিনি।
শাহবাগ এলাকার অটোচালক আব্দুল নূর সংবাদ২৪ কে বলেন, সকাল থেকে ২টা ট্রিপে ৪৫০ টাকা পেয়েছি। এই এলাকায় মানুষ কিছু আছে বাট পুরো ঢাকা ফাঁকা। আজকে মনে হয় মালিক জমা পাবো না। সবাই গ্রামে চলে গেছে, অন্য বছর এতো মানুষ গ্রামে যায়নি।
রাধনারীর লালবাগ নূর ফাত্তাহ লেন এর বাড়িওয়ালা আলাওয়াল কবির ভুঁইয়া বলেন, আমার ৩২টি ফ্ল্যাটের সব ভাড়াটিয়া গ্রামে চলে গেছে। এলাকায় শুধু স্থানীয় মানুষরা আছে। অনেক বাড়ির মালিকও গ্রামে চলে গেছে। এলাকা একদম নিরব! এমন ফাঁকা আমার বিল্ডিং কখনো হয়নি!
+ There are no comments
Add yours