২১ অগাস্ট গ্রেনেড হামলা: আ.লীগ সরকারের পতনের পর কী হবে মামলার?

আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ভয়াল একুশে অগাস্ট পালিত হয়েছে নিভৃতেই। ক্ষমতাচ্যুত দলটির কার্যক্রম নেই, নেতাকর্মীরা আত্মগোপনে, সমর্থকদের কেউ কেউ অবশ্য ফেইসবুকে সেই ঘটনার স্মরণে পোস্ট দিচ্ছেন। কিন্তু এই ঘটনায় চলমান মামলা কি দলীয় কর্মসূচীর মতো নিরবে চাপা পড়ে যাবে সেটিই এখন বড় প্রশ্ন।

২০০৪ সালের ২১ অগাস্ট সংঘটিত এ ঘটনার মামলায় বিচারিক আদালতে রায় হয়েছে। এখন হাই কোর্টে আসামিদের মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদন (ডেথ রেফারেন্স) ও আপিলের ওপর শুনানি পর্যায়ে রয়েছে।

বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ২০ বছর আগে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি সুপ্রিম কোর্টের অবকাশকালীন ছুটির পর হবে বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ।

অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, “সুপ্রিম কোর্টের সামনের অবকাশকালীন ছুটির পর এ মামলার শুনানির সময় দেওয়া হয়েছে। আগের বেঞ্চ থাকলে সেখানে শুনানি হবে। আর যদি ওই বেঞ্চের এখতিয়ার না থাকে তবে নতুন বেঞ্চে শুনানি হবে।”

তবে নতুন বেঞ্চ হলে সেক্ষেত্রে আবার শুরু থেকে শুনানি হতে পারে বলেও জানান অ্যাটর্নি জেনারেল।

আগামী ৮ অগাস্ট থেকে অবকাশকালীন ছুটি শুরু হবে; ছুটি শেষ হবে ১৭ অক্টোবর।

গত বছর তৎকালীন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেছিলেন, “পেপারবুকের আর কয়েকশ পৃষ্ঠা পড়ার বাকি আছে। জ্যেষ্ঠ বিচারপতি ভারতে চিকিৎসাধীন থাকায় শুনানি কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। আগামী ১০-১১ কার্যদিবসে শুনানি শেষ হওয়ার কথা।”

২০০৪ সালের ২১ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে ২৪ জনকে হত্যা করা হয়। ১৪ বছর পর ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর এ মামলার রায় দেয় ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন। রায়ের পর ওই বছরই বিচারিক আদালতের রায়সহ মামলা দুটির নথিপত্র হাই কোর্টে আসে, যা সংশ্লিষ্ট শাখায় ডেথ রেফারেন্স মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়।

রায়ে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান, খালেদার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীসহ ১৯ জনকে দেওয়া হয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।

তারেক রহমান যুক্তরাজ্যে অবস্থান করার কারণে আইনের দৃষ্টিতে পলাতক। এ কারণে তিনি আপিল করতে পারেননি। তবে সম্প্রতী সরকারের পতনের পর এই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামী তারেক রহমানের দেশে ফেরার গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours