অবশেষে সব শঙ্কা সত্যি হলো, তীব্র পানির স্রোতে ভেঙে গেছে কুমিল্লার গোমতী নদীর বাঁধ ও চট্টগ্রামের হাটহাজারী অংশে হালদার বাঁধ। এতে ওইসব এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। লোকালয়ে হু হু করে প্রবেশ করছে পানির প্রবাহ।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) রাত দেড়টার দিকে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ষোলনল ইউনিয়নের বুড়বুড়িয়া এলাকার গোমতীর বাঁধের একটি অংশে ভাঙন সৃষ্টি হয়। সেই ভাঙনের ফলে অবাধে পানি ঢুকছে বাঁধের বিপরীত পাশের লোকালয়ে।
রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লার পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আব্দুল লতিফ।
এর আগে রাত ৯টার দিকে চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার নাজিরহাট নতুন ব্রিজ এলাকায় হালদার তীররক্ষা বাঁধ ভেঙে যায়।
পানি প্রবেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী সোহাগ তালুকদার বলেন, ‘গত বুধবার থেকে হালদার পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্তত ২২টি স্থানে বাঁধ ভেঙেছে।
রাত ১২টার দিকে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বাঁধ উপচে ও ভেঙে যাওয়া বাঁধের অংশ দিয়ে পানি ঢুকে উপজেলার ফরহাদাবাদ ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে অন্তত শতাধিক ঘরবাড়ি ডুবে গেছে।
এদিকে গোমতীর বাঁধে ভাঙনে কুমিল্লার বন্যাপরিস্থিতর অবনতি হতে শুরু করেছে। বাঁধ ভাঙার ফলে জেলার বুড়িচং, ব্রাহ্মণপাড়া থেকে শুরু করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা পর্যন্ত প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। ইতিমধ্যেই বুড়িবুড়িয়া, গাজীপুরসহ সবগুলো এলাকার মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে চলে যাওয়ার জন্য বার বার অনুরোধ করা হচ্ছে।
+ There are no comments
Add yours