নাটোর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের বাড়িতে পুলিশ ক্যাম্পের ব্যানার লাগিয়েছে সিংড়া থানা পুলিশ। এ ঘটনার পর আবার সেই ব্যানার খুলেও নিয়েছে পুলিশ। তবে পুলিশের দাবি, উত্তেজিত জনতার মব থেকে ভবনটি বাঁচাতে এ কৌশল গ্রহণ করা হয়েছে। ওই ভবন থেকে অস্থায়ী ক্যাম্পের ব্যানারটি সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
বাড়ি ভাঙার আশঙ্কা থেকে কৌশলগত কারণেই ব্যানারটির টাঙানো হয়েছিল বলে জানিয়েছে, পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ সংক্রান্ত একটি ছবি ছড়িয়ে পড়তে দেখা যায়। যা নিয়ে এলাকায় আলোচনার সৃষ্টি হয়ছে।
ছড়িয়ে পড়া ছবিতে দেখা যায়, রাতের অন্ধকারে দুই জন যুবক সিংড়া পৌরশহরের গোড়াউনপাড়ায় অবস্থিত জুনাইদ আহমেদ পলকের তিনতলা বাড়ির দ্বিতীয়তলায় দুই বারান্দার গ্রিলের সাথে একটি ব্যানারের দড়ি বাঁধছেন। টাঙানো ব্যানারটিতে লেখা ছিল ‘অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প, সিংড়া থানা, নাটোর।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার (৪ই মার্চ) সন্ধ্যার ৭টার পর সিংড়া থানার কয়েকজন পুলিশের উপস্থিতিতে দুই জন যুবক পলকের বাড়ির দ্বিতীয় তলায় অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প লেখা ব্যানার লাগিয়ে চলে যায়। কিছুক্ষণ পর ঘটনাটি জানাজানি হলে উৎসুক লোকজন জড়ো হয়। পরদিন বুধবার সকালের কোন এক সময় তা খুলেও ফেলা হয় বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে সিংড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসমাউল হক বলেন ,ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িটি ভাংচুর করার পরে আমাদের কাছে তথ্য এসেছে যেকোনো সময় রাজনৈতিক ট্যাগ দিয়ে এই (জুনাইদ আহমেদ পলকের বাড়ি) বাড়িটি ভাঙ্গার পরিকল্পনা করতে পারে। এজন্য ওটা (ব্যানার) দিয়েছি, যাতে রক্ষা পায়।
পরে ব্যানারটি খুলে ফেলার কারণ জানতে চাইলে ওসি বলেন, আমরা শুধুমাত্র জানান দিলাম, আমরা আছি এখানে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী রেঞ্জের অ্যাডিশনাল ডিআইজি (ক্রাইম ম্যানেজমেন্ট) মো. সারোয়ার জাহান বলেন, এরকম একটি আশঙ্কা ছিল। সে হিসেবে তাৎক্ষণিকভাবে ওই ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এটি কৌশলগত বিষয় ছিল।
উল্লেখ্য, গত ৫ই আগস্ট ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হলে ওই দিন বিকেলেই সিংড়ার গোডাউনপাড়াস্থ পলকের তিন তলা বাড়িতে ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এরপর থেকেই বাড়িটি পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল।
+ There are no comments
Add yours