লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর উপর তারবিহীন ডিভাইস পেজার ও ওয়াকিটকি দিয়ে হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরায়েল। তাদের এই কৌশলী হামলায় লেবাননে অন্তত ৪০ জন নিহত ও চার হাজার মানুষ আহত হয়েছেন।

‘এক মিনিটে লেবাননে ৪ হাজার মানুষকে হত্যা করতে চেয়েছিল ইসরায়েল’

লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর উপর তারবিহীন ডিভাইস পেজার ও ওয়াকিটকি দিয়ে হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরায়েল। তাদের এই কৌশলী হামলায় লেবাননে অন্তত ৪০ জন নিহত ও চার হাজার মানুষ আহত হয়েছেন।

দখলদার ইসরায়েলের এই সিরিজ হামলার পর আজ বৃহস্পতিবার টিভিতে ভাষণ দিয়েছেন হিজবুল্লাহর প্রধান নেতা হাসান নাসরুল্লাহ। তিনি দাবি করেছেন, এই হামলার মাধ্যমে ইসরায়েল সব সীমা অতিক্রম করেছে এবং তারা একসঙ্গে পাঁচ হাজার মানুষকে হত্যা করতে চেয়েছিল। যা গণহত্যার সামিল।

নাসরুল্লাহ বলেছেন, “গত মঙ্গলবার ইসরায়েল পেজারে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এক মিনিটে চার হাজার মানুষকে হত্যা করতে চেয়েছিল। যার মধ্যে অনেক বেসামরিক মানুষ ছিলেন। এর পরের দিন বুধবার দুই মিনিটে আরও এক হাজার। ইসরায়েল পাঁচ হাজার মানুষকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল।”

তিনি আরও বলেছেন, “আমরা বড় ধাক্কা খেয়েছি। কিন্তু এটি হলো যুদ্ধ, এটি দ্বন্দ্ব। আমরা শুধুমাত্র ইসরায়েলি শত্রুদের নয় যুক্তরাষ্ট্র এবং ন্যাটোকেও জানি। তারা প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে আমাদের চেয়ে এগিয়ে।”

হিজবুল্লাহ প্রধান দাবি করেছেন, এই হামলার মাধ্যমে তাদের দুর্বল করে দিতে চেয়েছিল ইসরায়েল। তারা চেয়েছিল নেতৃত্বে ধস ঘটাতে। কিন্তু এতে তারা সফল হয়নি। কারণ যেসব পেজারে বিস্ফোরণ ঘটেছে সেগুলো হিজবুল্লাহর কমান্ডাররা ব্যবহার করেন না।
নাসরুল্লাহ আরও বলেছেন, যতদিন পর্যন্ত গাজায় ইসরায়েলিরা বর্বরতা বন্ধ না করবে ততদিন তারা তাদের হামলা অব্যাহত রাখবেন।

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours